টি-টোয়েন্টিতে রশিদ খানের কাজটা কী? উত্তরটা খুব সহজ। আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনার উইকেট নেবেন, সঙ্গে রানেরও চাকাও থামাবেন। বছরের পর বছর ধরে রশিদ দুটোই করে আসছেন। সে কারণেই তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর এত চাহিদা। সম্প্রতি তাঁকে টি-টোয়েন্টির সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবেও ঘোষণা করেছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।
তবে হঠাৎ করেই এই রশিদকে দেখা যাচ্ছে না। এবার আইপিএলে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে মনে হয়, এ অন্য রশিদ খান!
রশিদের মতো বোলারেরও খারাপ সময় যেতে পারে। আইপিএলের মতো লম্বা টুর্নামেন্টে কয়েকটি ম্যাচ খারাপ করতেই পারেন। তবে দুই মাসের এই টুর্নামেন্টে ফিরে আসার সুযোগও তো ছিল, রশিদ সেটা পারেননি।
রশিদের জন্য কতটা খারাপ গেছে এবারের আইপিএল, তা একটি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। এবারের আইপিএলে রশিদ ছক্কা হজম করেছেন ৩৩টি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক মৌসুমে এত ছক্কা আর কেউ হজম করেনি। এর আগে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হজমের রেকর্ড ছিল মোহাম্মদ সিরাজের। ২০২২ সালে সিরাজ হজম করেছিলেন ৩১টি ছক্কা। ৩০টি করে ছক্কার মার খেয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
এবার ১৫ ম্যাচে রশিদের উইকেট মাত্র ৯টি। গড়ে ৫৭ রান খরচায় নিয়েছেন একটি করে উইকেট। যেখানে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া পেসার প্রসিধ কৃষ্ণার উইকেট ২৫টি। সর্বশেষ ৬ ম্যাচে রশিদ উইকেট নিয়েছেন মাত্র দুটি। ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ৯.৩৪। মানে উইকেট পাননি, সঙ্গে রানটাও চাপিয়ে রাখতে পারেননি এই স্পিনার।
এমনকি ব্যাট হাতেও এবার বলার মতো কিছুই করতে পারেননি রশিদ। আইপিএলে প্রতি মৌসুমেই কোনো না কোনো ইনিংস খেলে চমকে দেন রশিদ। এবার ৮ ইনিংস ব্যাটিং করে রান করেছেন মাত্র ৪০। সব মিলিয়ে এবারের আইপিএলে রশিদের সফরকে ব্যর্থই বলতে হবে।
তাঁর দল গুজরাটও কাল এলিমিনেটর থেকে বাদ পড়েছে।