এই প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল গীতিকার এবং সুরকার হলেন এইচ আর রিয়াজ। তাঁর লেখা এবং সুর করা বেশ কিছু মৌলিক গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নিজের কণ্ঠে গান গাওয়ার পাশাপাশি, তিনি বেশ কয়েকজন উদীয়মান গায়কের জন্যে ও লিখেছেন চমৎকার কিছু গান।
সঙ্গীত এর প্রতি ভালো লাগা ও ভালবাসা থেকেই তিনি গড়ে তুলেছেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “ঘাসফড়িং মিডিয়া” , যা ইতি মধ্যেই দেশের মিডিয়া অঙ্গনে অনেক সুনাম কুড়িয়েছেন। “ঘাসফড়িং মিডিয়া”র মাধ্যমে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভাবান শিল্পীদের বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
ঈদু-উল-আজহা উপলক্ষে আসছে তার কথা ও সুরে বেশ কয়েকটি গান, যা তার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান “ঘাসফরিং এন্টারটেইনমেন্ট” এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল সহ অন্যান্য কিছু চ্যানেলে প্রকাশ পাবে বলে জনিয়েছেন।
গীতিকার ও সুরকার এইচ আর রিয়াজের পুরো নাম হাবিবুর রহমান রিয়াজ। তিনি ১৯৯২ সালে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চরপাতা গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার বাবা-মায়ের সাথে গ্রামেই বেড়ে ওঠেন।
ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি দুর্বল এই মানুষটির স্বপ্ন ছিল একজন প্রতিষ্ঠিত গীতিকার এবং সুরকার হওয়ার। আর তাই স্কুল-কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার পাশাপাশি তিনি নিয়মিত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় কবিতা লেখেন। সঙ্গীতের প্রতি পাগল এই মানুষটি স্থানীয় সঙ্গীতজ্ঞ মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
তিনি স্কুল-কলেজ সহ বিভিন্ন স্থানীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত গান গাইতেন। ২০০৯ সালে এইচ আর রিয়াজ “হৃদয় মন্দির” শিরোনামের একটি গান দিয়ে সঙ্গীত জগতে তার যাত্রা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি তার সুর করা ও নিজের কন্ঠে আরও প্রায় পচিশটি মৌলিক গান প্রকাশ করেন। এখন পর্যন্ত রাজু মন্ডল, খাইরুল ওয়াসি, কামরুজ্জামান রাব্বি, সামস ভাই, গগন সাকীব, সুমাইয়া, মেঘলা, সাথী খান, এসবি সোহাগ, এবি সোহাগ মাসুদ টুটুল, জাজাবর পলাশ, মনির প্রধান, এস ডি সাগর, বন্যা তালুকদার, মহুয়া মোনা, অংকন এবং আরও বেশ কয়েকজন শিল্পী তার লেখা সুরে কণ্ঠ দিয়েছেন।
সঙ্গীত সম্পর্কে তার স্বপ্ন এবং বাস্তবতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আসলে, আমি কখনই শিল্পীদের সাথে নিজেকে তুলনা করতে চাই না, আমি সবসময় নিজেকে একজন গীতিকার এবং সুরকার হিসেবে দেখতে চাই” পাশাপাশি আমার “ঘাসফড়িং মিডিয়া” এর মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশের সাংস্কৃতি তুলে ধরতে চাই। আমি অনেক দূর যেতে চাই। আমি আমার নিজের সৃষ্টির মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকতে চাই, এই যাত্রায় সকলের আশীর্বাদ চাই। আমি চিরকাল সঙ্গীতের সাথে থাকতে চাই।”